ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গঙ্গা দেবীর মন্দিরে শুক্রবার বিকেলে চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৌর শহরের টাংগন নদীর পশ্চিম তীরে প্রতিবারের ন্যায় এবারও গঙ্গা দেবীর মন্দিরে এই পূজার আয়োজন করা হয়।

মেলায় ভক্তদের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতো বসেছিল গ্রামীণ মেলা ও।

গঙ্গা দেবী মন্দির কমিটির সভাপতি অশোক কুমার দাসের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি

অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনোজ কুমার দে, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিলা কাউন্সিলর দ্রপতী দেবী আগরওয়ালা, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদার,

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ঘোষ , সদর উপজেলা মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক ড. জগদীশ চন্দ্র রায়, শিক্ষিকা রমা ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস সংবাদকর্মীদের জানান আমি দীর্ঘদিন ধরে এই গঙ্গা দেবীর মন্দিরে চড়ক পূজা করে আসছি । এই পূজার অনুষ্ঠানটি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবছরই গঙ্গা দেবীর মন্দিরে চরক ঘোরানো হয় ।

এই মন্দিরে শুধু ঠাকুরগাঁও নয় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও অনেক ভক্ত দের সমাগম হয আমাদের এই গঙ্গা দেবীর মন্দির প্রাঙ্গণে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এইযে একটি কুচক্রী মহল গঙ্গা দেবীর মন্দির কে দখল করার চেষ্টা করছে।

আমাকে মন্দির থেকে সরে যেতে বলছে এবং আমাকে টাকার প্রস্তাব দিয়েছে আমি যেন এখান থেকে সরে যাই তাহলে তারা এই জায়গাটি দখল করে নিতে পারবে ভক্তদের কথা ভেবে আমি এই মন্দির থেকে আজও পর্যন্ত সরিনি এবং সর্বনা। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় বলেছেন আমরাও দীর্ঘদিন থেকে শুনে আসছি এই গঙ্গা দেবীর মন্দির নিয়ে নানান ধরনের তালবাহানা শুরু করেছে একটি মহল ।

তবে কেউ যদি মনে করে এখানে সাম্প্রদায়িক গন্ডগোল লাগানোর চেষ্টা করেন যত বড় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হন না কেন সেই ব্যক্তিদের কেন রকম ছাড় দেয়া হবে না।

অনেক জায়গায় হাত দিতে আসেন আমরা কিছু বলি না । আমরা সব কিছুই জানি তবে এবার এখানে যদি হাত দিতে আসেন তাহলে বুঝবেন।

গঙ্গাদেবীর পূজা শেষে সন্ধ্যায় ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।